
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর রাশিয়া আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে মস্কো বলছে, ট্রাম্প যাকে “চুক্তি” বলছেন, সেটি স্পষ্টভাবে জানতে চায় তারা।
বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) ট্রাম্প সতর্কবার্তা দেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা এবং উচ্চ কর আরোপ করা হবে। এতে রাশিয়ার পণ্যের ওপর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি এবং শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
একইদিন হোয়াইট হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “২০২২ সালে যদি আমি প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ কখনোই হতো না। পুতিনের সঙ্গে আমার সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল, যা এই সংকটের সৃষ্টি ঠেকাতে পারত।
তিনি আরও যোগ করেন, পুতিন খুবই চতুর এবং বাইডেন প্রশাসনকে অপছন্দ করতেন বলেই তিনি ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি চান, কিন্তু তার বার্তা মস্কো পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়া সমমর্যাদার ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে তারা এখনো ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট সংকেত পায়নি।
পেসকভ আরও বলেন, “ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। প্রথম মেয়াদেও তিনি এ ধরনের নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, “ট্রাম্পের চুক্তি বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন, তা আমাদের জানা দরকার। এটি শুধু যুদ্ধবিরতির বিষয় নয়, বরং সেই মূল সমস্যার সমাধান প্রয়োজন, যা ইউক্রেন সংকটের মূলে রয়েছে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং যে কোনো সময় সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কিংবা আলোচনার তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
বিশ্বের নজর এখন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার দিকে। এই আলোচনা ইউক্রেন সংকট সমাধানের নতুন পথ খুলে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনার এই আহ্বান ট্রাম্পের কূটনৈতিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের ওপর নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তবে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কের উন্নতি কতদূর সম্ভব, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের রাজনৈতিক স্বার্থ এবং আলোচনা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার ওপর।