১৪ই মার্চ, ২০২৫, ১৩ই রমজান, ১৪৪৬
সর্বশেষ
মাগুরায় নিষ্পাপ আছিয়ার জানাজায় শোকের ঢল, ন্যায়বিচারের দাবিতে ফুঁসছে জনতা
কোন শ্রেণীর মানুষ যাকাত গ্রহণ করতে পারবে? জানুন ইসলামের নির্দেশনা”
মাগুরায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু: ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্তাল দেশ
ধামরাইয়ে পুনরায় নির্মিত ৩ অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
হজ সেবায় গাফিলতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইউক্রেন রাজি
টেকনাফে মালয়েশিয়া পাচারের ষড়যন্ত্রে ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, পাচারের দালাল আটক
প্রত্যাবাসনের আশায় রোহিঙ্গাদের মুখে উচ্ছ্বাস: জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার সফর শুরু
চার দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস
যাকাত না দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি: কুরআন ও হাদিসের আলোকে কঠোর সতর্কবার্তা

ইফতার: রোজার শেষ সময়ের ফজিলত ও গুরুত্ব

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ইসলামী ডেস্ক: রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ সময়, যেখানে আত্মসংযম, ধৈর্য, এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসের মাধ্যমে নিজেদের পরিশুদ্ধ করা হয়। এই মাসের রোজা শুধু একটি শারীরিক ত্যাগ নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক উন্নতির একটি মাধ্যম। রোজার মূল পর্বের শেষে যেই মুহূর্তটি আসে, তা হলো ইফতার। এটি রোজার সমাপ্তির মুহূর্ত, কিন্তু তার চেয়েও অনেক বেশি—এটি আল্লাহর অশেষ রহমত লাভের এক সুযোগ এবং পূর্ণ শক্তি ও শান্তির পুনঃপ্রাপ্তির একটি সময়।

ইফতারের গুরুত্ব

ইফতার মুসলমানদের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যেটি শুধুমাত্র শারীরিক ক্ষুধা মেটানোর নয়, বরং আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির সময়ও। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইফতার সম্পর্কে বলেছেন:
“إِنَّ لِصَائِمٍ فَرْحَتَيْنِ: فَرْحَةٌ عِندَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِندَ لِقَاءِ رَبِّهِ”
(অর্থ: “রোজাদারের দুটি আনন্দ রয়েছে: একটি আনন্দ যখন সে ইফতার করে, এবং আরেকটি আনন্দ যখন সে তার প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।” – [সহীহ বুখারী])

এটি প্রমাণ করে যে ইফতার শুধুমাত্র খাবার গ্রহণের সময় নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক প্রশান্তির মুহূর্ত, যা মুসলমানদের হৃদয়ে সুখ ও শান্তি নিয়ে আসে।

ইফতার একটি বিশেষ সময়, যখন রোজাদার আল্লাহর নিকট দোয়া করার সুযোগ পান। ইফতারের সময় কোনো দোয়া কখনও প্রত্যাখ্যাত হয় না, এমনটি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“لِصَائِمٍ فِي فِطْرِهِ دَعْوَةٌ مَا تُرَدُّ”
(অর্থ: “রোজাদারের জন্য তার ইফতার করার সময় এমন একটি দোয়া রয়েছে, যা কখনোই প্রত্যাখ্যাত হয় না।” – [ইবনে মাজাহ])

ইফতারের সময় আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করার এক বিশেষ সুযোগ আসে, এবং এই মুহূর্তটি একজন মুসলমানের জন্য তার জীবনের অভাবনীয় প্রয়োজনীয়তা ও চাওয়া পূরণের সময় হতে পারে।

ইফতার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে এই সময়টি নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সাঃ) বলেছেন:
“فَطِّرُوا فِي رَمَضَانِ عَلَى تَمْرٍ فَإِنَّ رَجُلًا مَنْ أَفْطَرَ عَلَى تَمْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ لَهُ”
(অর্থ: “তোমরা রোজার ইফতার খাওয়ার সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করো, কারণ এটি তোমাদের জন্য আল্লাহর ক্ষমা এনে দেয়।” – [তিরমিজী])

তবে, যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে, কারণ রাসুল (সাঃ) পানি দিয়েও ইফতার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ইফতার দ্রুত করতে বলা হয়েছে, তবে খাবারের মধ্যে ভারী বা অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

ইফতারের সময় দোয়া করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরণ করা একাধিক দোয়া রয়েছে। এই সময় দোয়া না শুধু আমাদের ক্ষুধা মেটায়, বরং তা আমাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। কিছু বিশেষ দোয়া যা ইফতারের সময় বলা যায়, তা হলো:
“اللهم إني لك صمت وبك آمنت وعليك توكلت وعلى رزقك أفطرت”
(অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার উপর বিশ্বাস রেখেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি এবং তোমার রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করেছি।”)

এটি রোজাদারকে তার প্রভুর প্রতি নির্ভরশীলতার অনুভূতি দিতে সাহায্য করে এবং তার ইফতারকে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত