৯ই মে, ২০২৫, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
“যেকোনো সময় ভারত ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা হবে” হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ই’স’রা’য়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ২৫‘টি ড্রোন ধ্বংস করে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে গর্জে উঠল পাকিস্তানি সেনারা
এবার গোপনে দেশ থেকে পালালেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ! ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ
১৭ ও ২৪ মে শনিবারে ছুটি নেই, খোলা থাকবে সব অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পাল্টাপাল্টি হামলায় ভারত-পাকিস্তানে নিহত ৪১, আহত শতাধিক
পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রতিক্রিয়া জানালো পরাশক্তি বন্ধু দেশ চীন
ভারত পাকিস্তান ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস
যুদ্ধ পরিস্থিতির মহড়া আজ ভারতের সর্বত্র, পাকিস্তানের সতর্কবার্তা ও জাতিসংঘের সংলাপ আহ্বান
পাকিস্তানে ভারতের হামলা লজ্জাজনক বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুরা মানসিক বিপর্যয়ে: ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি হামলার ফলে শিশুদের শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি ভয়াবহ মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হতে হচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের মতে, গাজার প্রায় ১২ লাখ শিশু বর্তমানে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক, হতাশা এবং মৃত্যু-ভয় তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।

আট বছর বয়সী সামা তুবাইল এখন আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াতে পারে না, কারণ তার মাথায় চুলই নেই। ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহতা তাকে এতটাই মানসিকভাবে আঘাত করেছে যে তার চুল পড়তে শুরু করেছে, যা চিকিৎসকদের মতে ‘নার্ভাস শক’-এর ফল। সামার মা জানান, চুল হারানোর কারণে সে বাইরে যেতে ভয় পায় এবং সবসময় মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে রাখে। হতাশার কারণে সে প্রায়ই বলে, “মা, আমি ক্লান্ত, আমি মরে যেতে চাই।”

গাজার একাধিক মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণা বলছে, যুদ্ধের কারণে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯৬ শতাংশ শিশু মনে করে তারা যে কোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারে, আর ৪৯ শতাংশ শিশু মনে করে তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে।

ড. ইয়াসির আবু জামেই, গাজার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একজন, বলেন, “অনেক শিশু এতটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত যে তারা কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। কিছু শিশু কেবল শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, তারা হাসতে বা কাঁদতেও পারে না।

ইসরায়েলি হামলায় বাবা-মাকে হারিয়ে অনেক শিশু চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাত বছর বয়সী আনাস আবু ইশ এবং তার আট বছর বয়সী বোন দোয়া এখন তাদের দাদির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। দাদি ওম-আলাবেদ বলেন, “আনাস প্রায়ই রেগে যায়, বিশেষ করে যখন দেখে অন্য শিশুরা তাদের মায়ের কোলে বসে আছে। সে শুধু তার বাবা-মাকেই হারায়নি, সে হারিয়েছে নিরাপত্তা, ভালোবাসা এবং শৈশবের সব রঙ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি হলেও শিশুদের জন্য মানসিক পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরি। ইউনিসেফ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো শিশুদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েলি মনোবিজ্ঞানী এডনা ফোয়া বলেন, “এই শিশুদের মানসিকভাবে সুস্থ করতে হলে তাদের নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি শিশুদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই শিশুরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত