২১শে এপ্রিল, ২০২৫, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
সিলেট টেস্টে টাইগারদের ১৯১ রানে পেকেট করে ৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে দল, দ্বিতীয় দিন শুরুতেই ৩ উইকেট হারালো সফরকারীরা
রাজাকারের বাচ্চা তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো, গণ’হ’ত্যার আসামি হয়েও পুলিশকে এমন ভয়ঙ্কর হুমকি ইনু-শাজাহানের! সমালোচনার ঝড়
হা/য়/না ই-স-রা-ইলি হা’মলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ফি’লি’স্তিনির মৃ’ত্যু” নতুন করে ভ’য়া’বহ হা’মলার ঘোষণা নে’তানিয়াহুর
আজ বিশ্বব্যাপী স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও প্রশংসা দিবস
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়!
গণহত্যার বিচার ও আ.লীগকে নিষিদ্ধ করাই সবচেয়ে বড় সংস্কার” বললেন গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ
ফিরে দেখা ইতিহাস” জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরাপারফরমার কোন ক্রিকেটার?
গাজীপুরে নিজের দুই সন্তানকে নি’র্মমভাবে কু*পিয়ে হ”ত্যা করলেন এক ভ’য়ংকর কিলার খুনি মা…
হাসিনা-কাদের’সহ ১২ জন আওয়ামী নেতাকে আটক করতে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজাকারের বাচ্চা তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো, গণ’হ’ত্যার আসামি হয়েও পুলিশকে এমন ভয়ঙ্কর হুমকি ইনু-শাজাহানের! সমালোচনার ঝড়

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেওয়ার সময় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে অশোভন ও চৌদ্দগুষ্টি সহ খেয়ে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এবং জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে।

রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া পথে এবং হাজতখানায় প্রবেশের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে “রাজাকারের বাচ্চা তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো”—এমন ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে অবহিত করেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।

একজন পুলিশ সদস্য আদালতে জানান, “প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তারা আমাদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেয় এবং বলে, তোদের দেখে নেবো।” আরেক পুলিশ সদস্য শহীদুল বলেন, “হাসানুল হক ইনু বলেছে—তোদের চৌদ্দ গোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো। হাজতখানায় এসে তারা আবার মিটিং করে আমাদের হুমকি দেয়।”

ঘটনার সময় শাজাহান খান আদালতে হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে বলেন, “আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়েছে—এটা অত্যন্ত অপমানজনক।” তার আইনজীবী বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচর করলে বিচারক উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ডেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হ্যান্ডকাফ পরানো এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী করা হয়।

এদিকে কাঠগড়ায় থাকা ইনু, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম ও রাশেদ খান মেনন—এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

বিচারক বলেন, “যদি কোনো আসামি আদালতে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, তাহলে পুলিশ যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে পুলিশ যেন বাড়াবাড়ি না করে, সেটাও দেখতে হবে।”

এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একজন সাবেক মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন পাঠক লিখেছেন, গ’ণহত্যার আসামী হয়েও আওয়ামী লীগের এসব নির্লজ্জ বেহায়া নেতারা কিভাবে পুলিশ সদস্যের কারাগারের মধ্যেই এমন হুমকি দিতে পারে সেটা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার জন্য লজ্জার ইতিহাস হয়ে থাকবে। তার এমন কমেন্টের রিপ্লাই এ আরেকজন লিখেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে যদি কোন নির্লজ্জ বেহায়া রাজনৈতিক দল থেকে থাকে এটা একমাত্র আওয়ামী লীগ। যাদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুশোচনা বোধও নেই। যার লজ্জা নেই তার ঈমানও নেই, এভাবেই তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত