
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্কঃ চরমপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীগুলোর তৈরি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিত্তিক ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস হয়ে “তৃতীয় মন্দির” স্থাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ভিডিওটি ‘পরের বছর জেরুজালেমে, মসিহ এখন’—এই বার্তা দিয়ে প্রচার করা হয়, যা মুসলিম বিশ্বের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে আল-আকসা মসজিদ অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু।
আরব দেশগুলোর তীব্র প্রতিক্রিয়া:
ফিলিস্তিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ভিডিওকে ধর্মীয় স্থানসমূহের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত উসকানি ও জেরুজালেমে ইসলাম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান লক্ষ্য করে হামলার আহ্বান হিসেবে অভিহিত করেছে।
জর্ডান—যা জেরুজালেমের ইসলামি ও খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক—ভিডিওটি ঘৃণ্য উসকানি ও বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড বলে কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
কাতার ভিডিওর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এমন কর্মকাণ্ড দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সহিংসতা আরও উসকে দিতে পারে।
বর্তমান বাস্তবতা:
সম্প্রতি ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় শত শত চরমপন্থী ইহুদি আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। ২০২৪ সালে ৫৩,৬০০-এরও বেশি বসতি স্থাপনকারী এই স্থানটিতে প্রবেশ করে, যা গত দুই দশকে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ১৯৮০ সালে একতরফাভাবে তা সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
আরব বিশ্ব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো একে চরম উসকানি এবং ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে।