২৪শে এপ্রিল, ২০২৫, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরাইলের শত শত একর জমি, পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক
ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা: তবে কি যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে পরিস্থিতি?
কাশ্মীর হামলার পর ভারতের কড়া সিদ্ধান্ত, এবার জবাব দিতেই মাঠে নামল পাকিস্তান
হামাসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ: ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলে গর্জে উঠলেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস
মশা তাড়াতে কয়েল? জানুন, এটি আপনার শরীরের জন্য কতটা বিপজ্জনক!
গাজার আকাশে আজ শুধুই ধোয়া, বাতাসে রক্তের গন্ধ, চারদিকে বিকট শব্দ আর ধ্বংসস্তূপ
কাশ্মীর হামলার জবাবে ভারতের কড়া পদক্ষেপ: পানি চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক সিদ্ধান্ত
মাদ্রাসায় প্রযুক্তি বিস্তারে কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
কাশ্মীরে হামলার পর সৌদি সফর স্থগিত, দেশে ফিরে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী
ফজরের নামাজ শেষে কুরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় মসজিদেই যুবকের মৃত্যু!

গাজার আকাশে আজ শুধুই ধোয়া, বাতাসে রক্তের গন্ধ, চারদিকে বিকট শব্দ আর ধ্বংসস্তূপ

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার আকাশে আজ আর সকাল নামে না, নামে এক একটি বিভীষিকার নতুন অধ্যায়। চোখ খুললেই দেখা যায় ধোঁয়ার পর্দা, চারপাশে ধ্বংসস্তূপ, বাতাসে ছড়িয়ে থাকা বারুদের ঝাঁজ আর রক্তের লাল ছোঁয়া। যে শহরে এক সময় হাসির শব্দ গমগম করত, সেখানে এখন শুধু কান্না, আর্তনাদ আর বাঁচার আকুতি।

শিশুরা এখন আর খেলা শেখে না, শেখে কীভাবে বাঁচতে হয় ধ্বংসের মাঝে। যাদের হাতে থাকার কথা ছিল বই আর খেলনা, তারা এখন ধরে রাখে ভাইয়ের রক্তাক্ত জামা, বাবার নিথর দেহ। মা শুধু তাকিয়ে থাকেন শূন্য চোখে, কারন তার কোলে আর কখনো জাগবে না তার সন্তানের হাসি।

বিস্ফোরণের শব্দ এখন এতটাই পরিচিত যে শিশুরা আর চমকে ওঠে না—তারা চুপ থাকে, কারণ ভয়ই এখন তাদের স্বাভাবিক আবেগ হয়ে গেছে। হাসপাতালের শয্যায় ব্যথায় কাতর শিশু ফিসফিস করে বলে, “আমি কি বেঁচে যাবো, আম্মু?”

এমন এক গাজা আজ, যেখানে জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। যেখানে ঘুম মানে আতঙ্ক, খাওয়া মানে ভাগ্য, আর বেঁচে থাকা এক অলৌকিক ঘটনা।

তবু বিশ্ব চুপ। সভ্যতা গর্জে ওঠে না। সভা বসে, আলোচনার খাতা খোলে, কিন্তু গাজার শিশুরা প্রতিদিন হারিয়ে যায় আরেকটা নামহীন কবরস্থানে। তাদের কান্না এখন মিডিয়ার হেডলাইন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কোন মুসলিম বিশ্ব নেতার হৃদয় স্পর্শ করে না।

তবুও গাজার মানুষ ভাঙে পড়েনি। কারণ তাদের শক্তি কোনো রাষ্ট্র নয়, কোনো সংস্থা নয়—তাদের একমাত্র শক্তি মহান আল্লাহ তাআলা।

এই শিশুরা এখন আর জাতিসংঘ বা উন্নত বিশ্বের দিকে চেয়ে নেই। তারা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। চোখে জল, বুকে বিশ্বাস—আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কোন সাহায্যকারী নেই।

তারা বিশ্বাস করে, একদিন আসবেই সেই সকাল।
যেদিন গাজার আকাশে থাকবে না ধোঁয়ার চাদর,
যেদিন সূর্য উঠবে রক্তের রং নয়, আলো নিয়ে।
যেদিন বোমার শব্দ নয়, বাজবে আজানের ধ্বনি আর পাখির গান।
যেদিন ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফুটে উঠবে নতুন জীবনের কুঁড়ি।
শিশুরা আবার দৌড়াবে, হাসবে, আঁকবে শান্তির ছবি।
আর সেই দিন… খুব দূরে নয়।

হে আল্লাহ, গাজার শিশুদের জন্য সেই সকাল এনে দাও।
اللهم انصر أهل غزة، واحفظ أطفالهم، وكن لهم ولياً ونصيراً
(হে আল্লাহ, গাজার মানুষদের তুমি সাহায্য করো, তাদের সন্তানদের হেফাজত করো, তাদের সহায় ও অভিভাবক হয়ে ওঠো।)

একদিন নিশ্চয়ই সূর্য উঠবে গাজার আকাশে—নতুন আশার, নতুন জীবনের।
আর সেদিন… গাজার কান্না রূপ নেবে বিজয়ের হাসিতে। ইনশাআল্লাহ!

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত