৯ই জুন, ২০২৫, ১২ই জিলহজ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
সংবাদ উপস্থাপকা সাফিনা তরীর হঠাৎ অস্বাভাবিক মৃত্যু, ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে লাশ
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ দখল করল ই’স’রাইল, গ্রেটা থুনবার্গসহ আটক ১৩ জন
সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চায় পাকিস্তান
ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব: আসল রেষারেষি না সাজানো নাটক?
অভিশাপ দিয়ে ধৈর্য হারাচ্ছেন? হুঁশিয়ার! ইসলামে আছে এর ভয়াবহ পরিণতি
আবারও বাড়ছে করোনা শনাক্ত, ঈদ পরবর্তী ভিড়ে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
আন্তর্জাতিক
উত্তপ্ত মণিপুরে নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা, অনির্দিষ্টকালের কারফিউ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
১০ ই জুন হাই ভোল্টেজ ম্যাচে কোন দল কত গোলে জিতবে সঠিক প্রেডিকশন দিয়ে জিতে নিন আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার
নিজের রাজনৈতিক দল গড়ে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ দিলেন ইলন মাস্ক!
নেত্রীকে দেখে আবেগাপ্লুত ফখরুল, বললেন,‘গণতন্ত্রের ওপর এখনও বিশ্বাস রাখেন বেগম জিয়া
মালদ্বীপের বিপক্ষে ২ গোল করা ফান্দিকে দিয়েই হামজা-সামিতের বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করার হুংকার দিলেন সিঙ্গাপুর কোচ
প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোরবানির গোশত পৌঁছে দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন জুলাইয়ের যোদ্ধা হাসনাত আব্দুল্লাহ!
স্ত্রীর লোমহর্ষ ভয়ং’কর পরকীয়ার অপরাধে দু’খন্ডিত মাথা নিয়ে থানায় হাজির স্বামী!
স্যার আপনি দালাল- দুর্নীতিবাজদের কথা শুনবেন না, আপনাকে আরোও ৫ বছর চাই

গাজার আকাশে আজ শুধুই ধোয়া, বাতাসে রক্তের গন্ধ, চারদিকে বিকট শব্দ আর ধ্বংসস্তূপ

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার আকাশে আজ আর সকাল নামে না, নামে এক একটি বিভীষিকার নতুন অধ্যায়। চোখ খুললেই দেখা যায় ধোঁয়ার পর্দা, চারপাশে ধ্বংসস্তূপ, বাতাসে ছড়িয়ে থাকা বারুদের ঝাঁজ আর রক্তের লাল ছোঁয়া। যে শহরে এক সময় হাসির শব্দ গমগম করত, সেখানে এখন শুধু কান্না, আর্তনাদ আর বাঁচার আকুতি।

শিশুরা এখন আর খেলা শেখে না, শেখে কীভাবে বাঁচতে হয় ধ্বংসের মাঝে। যাদের হাতে থাকার কথা ছিল বই আর খেলনা, তারা এখন ধরে রাখে ভাইয়ের রক্তাক্ত জামা, বাবার নিথর দেহ। মা শুধু তাকিয়ে থাকেন শূন্য চোখে, কারন তার কোলে আর কখনো জাগবে না তার সন্তানের হাসি।

বিস্ফোরণের শব্দ এখন এতটাই পরিচিত যে শিশুরা আর চমকে ওঠে না—তারা চুপ থাকে, কারণ ভয়ই এখন তাদের স্বাভাবিক আবেগ হয়ে গেছে। হাসপাতালের শয্যায় ব্যথায় কাতর শিশু ফিসফিস করে বলে, “আমি কি বেঁচে যাবো, আম্মু?”

এমন এক গাজা আজ, যেখানে জীবনের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। যেখানে ঘুম মানে আতঙ্ক, খাওয়া মানে ভাগ্য, আর বেঁচে থাকা এক অলৌকিক ঘটনা।

তবু বিশ্ব চুপ। সভ্যতা গর্জে ওঠে না। সভা বসে, আলোচনার খাতা খোলে, কিন্তু গাজার শিশুরা প্রতিদিন হারিয়ে যায় আরেকটা নামহীন কবরস্থানে। তাদের কান্না এখন মিডিয়ার হেডলাইন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কোন মুসলিম বিশ্ব নেতার হৃদয় স্পর্শ করে না।

তবুও গাজার মানুষ ভাঙে পড়েনি। কারণ তাদের শক্তি কোনো রাষ্ট্র নয়, কোনো সংস্থা নয়—তাদের একমাত্র শক্তি মহান আল্লাহ তাআলা।

এই শিশুরা এখন আর জাতিসংঘ বা উন্নত বিশ্বের দিকে চেয়ে নেই। তারা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। চোখে জল, বুকে বিশ্বাস—আল্লাহ ছাড়া তাদের আর কোন সাহায্যকারী নেই।

তারা বিশ্বাস করে, একদিন আসবেই সেই সকাল।
যেদিন গাজার আকাশে থাকবে না ধোঁয়ার চাদর,
যেদিন সূর্য উঠবে রক্তের রং নয়, আলো নিয়ে।
যেদিন বোমার শব্দ নয়, বাজবে আজানের ধ্বনি আর পাখির গান।
যেদিন ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফুটে উঠবে নতুন জীবনের কুঁড়ি।
শিশুরা আবার দৌড়াবে, হাসবে, আঁকবে শান্তির ছবি।
আর সেই দিন… খুব দূরে নয়।

হে আল্লাহ, গাজার শিশুদের জন্য সেই সকাল এনে দাও।
اللهم انصر أهل غزة، واحفظ أطفالهم، وكن لهم ولياً ونصيراً
(হে আল্লাহ, গাজার মানুষদের তুমি সাহায্য করো, তাদের সন্তানদের হেফাজত করো, তাদের সহায় ও অভিভাবক হয়ে ওঠো।)

একদিন নিশ্চয়ই সূর্য উঠবে গাজার আকাশে—নতুন আশার, নতুন জীবনের।
আর সেদিন… গাজার কান্না রূপ নেবে বিজয়ের হাসিতে। ইনশাআল্লাহ!

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত