১লা জুলাই, ২০২৫, ৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
নতুন বাংলাদেশের বর্ষপূর্তিতে জুলাই ঐক্যের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজই করছি বললেন প্রধান উপদেষ্টা
গাজায় সমুদ্রতীরবর্তী ক্যাফেতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে হ’ত্যা করলো হা/য়/না ই’সরা’ইল
গ্লোবাল লীগ শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশ ছাড়লেন চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স!
এবার মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে খতমে নবুওয়াত
ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানে নারী ও শিশু’সহ ৪৫ জনের মৃত্যু!
কাস্টমার সেজে দিনে-দুপুরে সানারপাড় জমজম জুয়েলার্সে গা শিউরে উঠা ভয়ংকর প্রতারণা: অর্ধ লক্ষ টাকার স্বর্ণ চুরি!
শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা মুক্ত হয়েছি বলে একুশে পদকের অর্থ জুলাই ফাউন্ডেশনে দিলেন মাহমুদুর রহমান
ক্লাব বিশ্বকাপে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত লিওনেল মেসির মিয়ামি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা আমাদের গৌরব: আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান
খামেনিকে হ*ত্যার হুমকি সৃষ্টিকর্তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল: ইরানের জেষ্ঠ্য ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ্ নাসের
হামাস যো’দ্ধা’দের তীব্র প্রতিরোধে ই’স’রাইলি সেনা নিহত
ইমাম খতিব মুয়াজ্জিনদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো ধর্ম উপদেষ্টা
ফি’লি’স্তি’নি নি’ষ্পা’প শি’শু গণহ’ত্যা’কা’রী নে’তা’নিয়াহুকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে হুঁশিয়ারী ইসরাইলি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

গাজায় একটুকরো খাবারও আর মজুদ নেই —ক্ষুধায় কাঁদছে এক জাতি, অথচ বিশ্ব নিরব!

আওয়ার টাইমস নিউজ।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা এখন এক মৃত্যুপথযাত্রী শহরের নাম। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তারা গাজায় শেষ খাদ্য সরবরাহ পৌঁছে দিয়েছে। আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

এই সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি খাবার পেত। তাদের জন্য চাল, ডাল, তেল—সাধারণ কিছু উপকরণই ছিল জীবন রক্ষার বড় সম্বল। এই দাতব্য রান্নাঘরগুলোর সহায়তায়ই চলছিল তাদের দিন। কিন্তু এখন সেই রান্নাঘরগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে—কারণ কোনো খাদ্য আর আসছে না, কিছুই নেই।

ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব রকমের সরবরাহ—খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ—সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্রায় দুই মাস ধরে এক নিঃশ্বাসে বেঁচে ছিল গাজাবাসী—বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেওয়া অল্প কিছু খাবারেই। কিন্তু এখন সেই শেষ আশাটুকুও নিভে গেল।

জাতিসংঘ বলছে, গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই নির্ভর করছিল এই রান্নাঘরের খাবারের উপর। এখন তারা সবাই চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে। অনাহারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে শিশুরা, নারীরা আর অসুস্থ বৃদ্ধেরা।

এদিকে, একবেলার খাবারের আশায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো জানে না, তাদের জন্য আর কিছু আসবে না। শিশুর মুখে দুধ নেই, বৃদ্ধ বাবার মুখে এক চামচ ভাতও নেই। মা তার শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁদে—তাকে কী খাওয়াবে?

গাজার এই নিরীহ মানুষের বিভীষিকাময় কষ্টের দৃশ্যগুলো কি বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো দেখতে পাচ্ছেনা, ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা নেতারা, সভ্যতার দাবিদার সমাজ—তারা কী সত্যিই দেখতে পাচ্ছে না গাজার এই মৃত্যু-নাটক? নাকি তারা ব্যস্ত নিজেদের স্বার্থ নিয়ে?

গাজার এই নিঃশব্দ মৃত্যুর মিছিল আমাদের সকলের বিবেকের সামনে এক কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়—
“মানুষের জীবনের চেয়ে রাজনীতি বড় হয়ে গেছে?”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত