২৭শে জুন, ২০২৫, ১লা মহর্‌রম, ১৪৪৭
সর্বশেষ
আন্তর্জাতিক সংবাদ
যুদ্ধের পর ট্রাম্পকে খামেনির কঠোর হুঁশিয়ারি: শান্তি না প্রতিশোধ?
ইরান আমেরিকার মু’খে একটা কঠিন থা’প্পড় দিয়েছে বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ্ খামিনি!
নিজের দেশ ইসরাইলকে এত ভালোভাবে সেবা করা মহান বীর নেতানিয়াহুকে কে ক্ষমা করে দিতে হবে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
নির্বাচনের আগেই খু’নি হাসিনা কর্তৃক সমস্ত গণহত্যার বিচার করতেই হবে বলে হেফাজতের হুংকার!
দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করে ব্যর্থতায় প্রথম দিন শেষ করা বাংলাদেশ, দ্বিতীয় দিন কোন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে?
মাত্র দুই মাসের শিশুর অর্ধ গলাকাটা নিয়ে হাসপাতালে স্বজনরা, রক্তাক্ত বাবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক!
হা/য়/না ই’সরা’ইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ৪ দেশের আকাশ কাঁপানো ঈগল খ্যাত বাংলাদেশী পাইলট সাইফুল আজমের অজানা ইতিহাস
ইসলাম বিদ্বেষী খ্যাত আওয়ামী নেতাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পুলিশে দিল বিক্ষুব্ধ জনতা
অবশেষে ইরানের ক্ষে’প’ণাস্ত্র হা’মলায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি ও সঠিক মৃতের সংখ্যা জানালো ইসরাইল
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মার্কিন বক্সার , মোহাম্মদ আলী ক্লের ইসলাম গ্রহণের হৃদয় কাঁপানো গল্প!
ইরানের কাছে কি সত্যি হার মেনেছে ইজরাইল
হা’মাসের ভ’য়া’বহ হা’ম’লায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে র’ক্তা’ক্ত দিন, ৫ ই’স’রাইলি সেনা নিহত! আহত বহু সেনা
ইরান ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগে যু’দ্ধতো থামছেই না, উল্টো আরো ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

২৯ এপ্রিল: ইতিহাসের সেই ভয়ংকর রাত, যাকে আজও ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ

২৯ এপ্রিল ১৯৯১: উপকূলে ধ্বংসের করুণ স্মৃতি।

আওয়ার টাইমস নিউজ।

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৯ এপ্রিল—বাংলাদেশের ইতিহাসে গভীর বেদনা ও অশ্রুভেজা এক দিন। ১৯৯১ সালের এই দিনে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ সাক্ষী হয়েছিল এক ভয়াল দুর্যোগের, যা মুহূর্তেই বদলে দিয়েছিল লাখো মানুষের জীবন।

সেদিন রাত ছিল নিরব, কিন্তু সেই নীরবতার মাঝে জমেছিল এক ভয়ংকর বিপদ। রাত প্রায় বারোটার দিকে, ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসে এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়। সাথে ছিল ২০ ফুট উচ্চতার ভয়াল জলোচ্ছ্বাস, যা মুহূর্তের মধ্যে গ্রাস করে ফেলে সমগ্র উপকূলীয় জনপদ।

ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলের অগণিত ঘরবাড়ি মাটির সাথে মিশে যায়। ধ্বংস হয় হাসপাতাল, স্কুল, রাস্তাঘাট। আশ্রয়ের অভাবে বহু মানুষ প্রাণ হারায়, পানির স্রোতে ভেসে যায় গবাদিপশু ও ফসলের মাঠ। সরকারি ও বেসরকারি হিসাব বলছে, প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ। নিখোঁজ হয়েছিল আরও অগণিত। প্রায় ১ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। চারদিকে ছিল শুধু কান্না আর শোকের দৃশ্য।

এই ভয়াবহ দুর্যোগের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল পর্যাপ্ত সতর্কবার্তার অভাব এবং উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ের ঘাটতি। দুর্যোগ পূর্বাভাস ও প্রস্তুতি ব্যবস্থায় সেই সময় বাংলাদেশের অবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। ফলে যখন ঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ে, তখন সাধারণ মানুষ আর পালানোর সুযোগ পায়নি।

১৯৯১ সালের এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকেই নয়, মানবিক বিপর্যয়ের দিক থেকেও অন্যতম স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই দেশজুড়ে ত্রাণ, উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসে সাহায্যের হাত। বাংলাদেশের মানুষের অদম্য মানসিকতা এবং ঐক্যের চেতনায় ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় উপকূলীয় জনপদ।

এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করে। গড়ে তোলা হয় হাজার হাজার সাইক্লোন শেল্টার, চালু হয় পূর্বাভাস ব্যবস্থা, তৈরি হয় দুর্যোগ প্রস্তুতির নীতিমালা। আজ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে দেখছে।

আজ ২৯ এপ্রিল, আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেইসব শহীদ আত্মাকে, যারা প্রকৃতির এই ভয়াল থাবায় চিরতরে হারিয়ে গিয়েছিলেন। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—দুর্যোগ প্রতিরোধের প্রস্তুতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং মানুষের জীবনীশক্তি কতটা অদম্য।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত