
আওয়ার টাইমস নিউজ।
জুলাই বিপ্লব ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থনে পুলিশের গুলিতে শহীদ শাহিনূরের করুণ পরিণতি, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ক্ষোভ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ডেমরা ও কদমতলীতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বহু আন্দোলনকারী ও পথচারী। তেমনি এক শহীদ হলেন কাজলার মাছ ব্যবসায়ী ৫৭ বছর বয়সি শাহিনূর বেগম, যিনি ২২ জুলাই সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে বের হলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন।
গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে এক চিকিৎসকের অমানবিক মন্তব্য জাতিকে হতবাক করে দিয়েছে—“বুড়া মানুষ গুলি খাইছে, মরে গেলে সমস্যা নেই। আইসিইউ দরকার যুবকদের জন্য।” এই কথাগুলো যখন শাহিনূরের মেয়ে হাফেজা বলেন, তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবেশ।
শাহিনূরকে প্রথমে শনির আখড়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসার প্রথম দিকেই অবহেলা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। আইসিইউ না পেয়ে তিন দিন পরে স্থান মেলে, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। প্রায় এক মাস ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শাহিনূর মারা যান, মুখে একটি কথাও না বলে।
মেয়ে হাফেজা বলেন, “যদি প্রথম দিনই আইসিইউ পেতাম, তাহলে হয়তো মায়ের জবানটা অন্তত শুনতে পেতাম।”
শাহিনূরের মৃত্যুর পর কিছু সংগঠন ও জেলা প্রশাসন আর্থিক সহায়তা দিলেও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কোনো অনুদানই মায়ের জীবনের মূল্য ফিরিয়ে দিতে পারবে না।
এই ঘটনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার অমানবিকতা, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমননীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আবারও সামনে উঠে এসেছে।