
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরকার দেশটির তিন বাহিনীকে ‘পুরোপুরি স্বাধীনতা’ দিয়েছে পাল্টা জবাব দিতে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের এনডিটিভির বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। বৈঠকে মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের অঙ্গীকার, আর এতে সেনাবাহিনীর ওপর রয়েছে আমার পূর্ণ আস্থা।”
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা আসার পরপরই বৈঠক করে ভারতের মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি (সিসিএস)। এতে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ ওই হামলায় অন্তত ২৬ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনায় সরাসরি প্রতিবেশী পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
হামলার পর দিল্লি একাধিক কূটনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত আংশিকভাবে বন্ধ রাখা, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানো, ভিসা প্রক্রিয়া স্থগিত এবং দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করার মতো পদক্ষেপ।
উল্টো প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি দেশটি আকাশসীমা ও ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
হামলার পর থেকে দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। এতে আবারও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।