
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের শুল্ক যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তবে চীনও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, “যদি কেউ লড়াই চায়, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব; যদি কেউ সংলাপ চায়, তা হতে হবে সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে।”
ওয়াং ই আরও বলেন, ব্রিকস দেশগুলোর উচিত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নীতিমালা অনুসরণ করা এবং বহুমুখী বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমরা কি একমেরু আধিপত্যবাদী শাসন মেনে নেব, নাকি একটি ন্যায়সঙ্গত ও সুশৃঙ্খল বহুমেরু বিশ্বকে উৎসাহিত করব?”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি “লিবারেশন ডে” ঘোষণা করে ১৮৫টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এতে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা চীনও ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চীন এই শুল্ক যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা জোরদার করেছে। তারা কোরিয়ান যুদ্ধের সময়কার ছবি, এআই-উৎপাদিত মিম এবং ভিডিও ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিকে “সাম্রাজ্যবাদী” ও “বুলিং” হিসেবে চিত্রিত করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, “চীন কখনো হাঁটু গেড়ে বসবে না।”
এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যা ২০২২ সালের পর প্রথম। অর্থনীতিবিদরা এই মন্দার জন্য ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে দায়ী করছেন।
চীনের অবস্থান স্পষ্ট: তারা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পিছু হটবে না এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি বিশ্ব বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।