
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই এবার ভারতের অন্তত ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার সকালে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থানে এই হামলা চালানো হয় বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনী।
ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা থেকে শুরু করে পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভুজ পর্যন্ত অন্তত ২৬টি স্থানে সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোন প্রবেশ করে। লক্ষ্যবস্তু ছিল সামরিক ঘাঁটি, নিরাপত্তা চৌকি ও জনবহুল এলাকাগুলো।
ড্রোনগুলো যেসব এলাকায় দেখা গেছে তার মধ্যে রয়েছে বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জাট্টা, জয়সলমীর, বারমের, ভুজ, কুয়ারবেত এবং লক্ষী নালার নিকটবর্তী অঞ্চল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে হামলার চেষ্টাগুলো প্রতিহত করা হচ্ছে। সীমান্ত অঞ্চলের জনগণকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে এবং সব ধরনের নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে এক হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ওই ঘটনার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
ভারত সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালায় এবং পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবি করে। এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ভোরে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ শুরু করে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতের তৈরি এবং ইসরায়েলি প্রযুক্তিনির্ভর ২৯টি ড্রোন পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে এসব ড্রোন ভূপাতিত হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাকিস্তান ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল।