
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হলেও, মধ্যস্থতার কৃতিত্ব দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল পোস্ট ঘিরে ভারতের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর ‘দ্বিপক্ষীয় নীতিতে অনড় অবস্থান’ থেকে সরে আসার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলগুলো মোদী সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেলেছে।
১০ মে বিকেলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই সীমান্তে গোলাগুলির অভিযোগ ওঠে। জম্মু ও শ্রীনগর অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও, রোববার সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
তবে এই যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মধ্যস্থতা’ ছিল কি না—তা নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একাধিক পোস্টে দাবি করেন, তাঁর সরাসরি মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ চান এবং দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী।
এই দাবি সামনে আসতেই ভারতের বিরোধী দলগুলো কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা প্রশ্ন তোলে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকাকে কি ভারতের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক নীতির বিপরীতে অবস্থান বলে মনে করা হবে না?
এমন সমালোচনার মুখে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দ্রুত বিবৃতি দিয়ে জানায়, “এই যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণরূপে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না।”
বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যে মোদীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছে, যাতে সরকার যুদ্ধবিরতির পেছনের বাস্তবতা ও কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে মোদী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি আরও কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
_______________________________________________
প্রিয় দর্শক নিচে দেয়া লিংকে ক্লিক করে আমাদের Our Time’s News এর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলটি ফলো করে আসার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ