
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ইসলামী ডেস্ক: ইসলাম মানুষের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সব বিপদ থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা দিয়েছে। বদনজর, জিনের আঘাত বা শয়তানের কুমন্ত্রণা, এসবই মানুষের অজান্তে ক্ষতি করতে পারে। তাই কুরআন ও হাদিসে এসব বিপদ থেকে মুক্ত থাকার জন্য রয়েছে পরীক্ষিত দোয়া, যেগুলো নিজে পড়া এবং সন্তানদের ওপর পড়ে ফুঁ দেওয়া সুন্নাহ।
সহিহ হাদিস অনুযায়ী, প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইনের জন্য প্রতিদিন বিশেষ একটি দোয়া পড়তেন। তিনি উম্মতকে দোয়াটি শিখিয়েছেন যেন তারা নিজেদের ও সন্তানদের অদৃশ্য বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। এই দোয়াটিই বদনজর, বিষাক্ত প্রাণী, জিন ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার সবচেয়ে শক্তিশালী আমল হিসেবে পরিচিত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ যে দোয়াটি পড়তেন
اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উচ্চারণ:
আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইত্বানিন ওয়া হাম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল্লাম্মাহ।
অর্থ:
“আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় নিচ্ছি,
প্রত্যেক শয়তান থেকে,
প্রত্যেক ক্ষতিকর প্রাণী থেকে,
এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর বদনজর থেকে।”
কেন এই দোয়াটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
বদনজর, জিন ও শয়তান, মানুষের কাছে অদৃশ্য হলেও তাদের ক্ষতি বাস্তব।
রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজ নাতিদের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন এই দোয়া পড়তেন, যা তার গুরুত্ব প্রমাণ করে।
আল্লাহর “কালীমাতুল্লাহ হিত্তাম্মাত” অর্থাৎ আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ বাণী, সব ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঢালের মতো কাজ করে।
দোয়াটি নিয়মিত পড়লে ঘর, সন্তান ও নিজেকে অদৃশ্য বিপদ থেকে রক্ষা করা যায়।
কখন এবং কীভাবে দোয়াটি পড়বেন
সন্তানদের জন্য: মাথা বা বুকে হাত রেখে ৩ বার ফুঁ দিয়ে দিন।
ঘুমানোর আগে: নিজের জন্য ৩ বার।
ভয় বা অশুভ অনুভূতি হলে: সাথে সাথে ১–৩ বার।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে: ১ বার।
শিশুর কান্না, দুঃস্বপ্ন বা হঠাৎ ভয় পাইলে: এই দোয়া খুব কার্যকর।
অতিরিক্ত সুন্নাহসমূহ
বাড়িতে সুরা ফালাক, সুরা নাস ও আয়াতুল কুরসি পড়া।
শিশুর প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসা করলে “মাশাআল্লাহ” বলা।
অন্ধকার বা নির্জন স্থানে যাওয়ার আগে “বিসমিল্লাহ” পড়া।



























