
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় কিছু তথ্য গোপন করেছিলেন। তবে দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করলেও মনোনয়ন বাতিলের ক্ষমতা তাদের নেই।
রোববার সিলেটের কবি নজরুল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন। গণশুনানিতে ৭৩টি অভিযোগ কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে সরকারি দপ্তরের সেবা নিতে গিয়ে নাগরিকদের হয়রানি ও অনিয়মের বিষয়গুলোও ছিল।
ড. মোমেন বলেন, “সন্তানের কাছে ঘুষখোর হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। তাই আমাদের কাজের নৈতিকতা বজায় রাখা উচিৎ।” তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ করে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। দুদক বিচারকারী প্রতিষ্ঠান নয়; তাদের কাজ হলো প্রমাণ সংগ্রহ এবং আদালতে উপস্থাপন করা।
জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম এবং সিলেটের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা। এছাড়া, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সশরীরে উপস্থিত থেকে সড়ক ও টিকিটের উচ্চমূল্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
ড. মোমেন জানান, সিলেটে আজকের গণশুনানি দেশের সারাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে উদ্যোগের অংশ। কোথাও দুর্নীতি বা অনিয়মের প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সকলকে সতর্ক ও সোচ্চার থাকার জন্য অনুরোধ জানান।



























