
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: গোপালগঞ্জের এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, সরাসরি ভারতের মাটি থেকে এনসিপি নেতাদের হত্যা ও হামলার নির্দেশনা দিয়েছেন গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিশেষ সূত্র ও একাধিক অডিও বার্তার ভিত্তিতে জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষা ও এনসিপির পদযাত্রা পণ্ড করতে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত নেতাদের একের পর এক ফোন করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন— ‘গোপালগঞ্জের মাটি থেকে ওরা (এনসিপি) কেউ যেন জীবিত ফিরে যেতে না পারে।’
শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশের পর গোপালগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের একযোগে সংঘবদ্ধ করা হয়। কলকাতায় থাকা শেখ হাসিনার ফুপাত ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লন্ডনে থাকা আব্দুর রহমান, ইকবাল হোসেন অপু, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজল সবাই মিলে হামলার সমন্বয় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ভারতে পলাতক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি হামলার আহ্বান জানান। তার আহ্বানেই গোপালগঞ্জ পৌর পার্ক মাঠের কর্মসূচি শুরুর আগেই স্থানীয় চর দুর্গাপুর এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পরে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জের এই হামলায় এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যার লক্ষ্য ছিল বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এনসিপির নেতাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের একক দখলদারিত্ব ভাঙার চেষ্টা করতে গিয়ে তারা সরাসরি রাজনৈতিক হত্যার নিশানায় পড়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় কলকাতায় গোপন আস্তানায় থাকা গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজলের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম স্থানীয় নারী কর্মীদের সংঘবদ্ধ করতে কলকাতা থেকে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির ঘোষিত ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে ঘিরে শুরু হওয়া এ হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় তল্লাশি চলছে।





























