
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ যখন ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ, তখন জয়ের স্বপ্ন ছিল চোখে মুখে। কিন্তু হঠাৎ ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা, মাঠে প্রবেশ করে বিশাল আকৃতির একটি নাগিনী সাপ! সেই মুহূর্তেই খেলার রঙ যেন বদলে যায়।
বাংলাদেশি ব্যাটাররা যেন আচমকা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ১০৫ রানে পৌঁছাতেই টপাটপ পড়ে যায় সাতটি উইকেট। সহজ জয় যেন হঠাৎই রূপ নেয় বড় হারে। অবশেষে ৩৯.২ ওভারে ১৬৭ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস। ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
অজানা আতঙ্কে ব্যাটিং ধস?
খেলার মাঝপথে মাঠে সাপ প্রবেশের ঘটনা স্বভাবতই খেলোয়াড়দের মনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ায়। অনেকে বলছেন, এটি নিছকই কাকতালীয়; কেউ কেউ আবার মনে করছেন, কোনো ‘লঙ্কান রহস্য’ এখানেও কাজ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে প্রশ্ন—ম্যাচ হারার পেছনে ওই সাপের ‘সাইকোলজিকাল প্রভাব’ কাজ করেছে কি না?
শুরুটা যেমন ছিল, শেষটা তেমন হয়নি
তাসকিন আহমেদ (৪৭/৪) ও তানজিম হাসান সাকিব (৪৬/৩)-এর দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২৪৪ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট হাতে সাবলীল সূচনা করেন টাইগাররা। কিন্তু মাঠে সাপ আসার পর থেকেই ছন্দপতন শুরু হয়। রীতিমতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং অর্ডার।
তাতেই ম্যাচ হাতছাড়া
একের পর এক ব্যাটার এলোমেলোভাবে আউট হয়ে যান। স্নায়ুচাপে ভুগে দলীয় পরিকল্পনা হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, যা অনায়াস জয়কে করে তোলে হতাশাজনক হার।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে প্রশ্ন:
সাপের সেই আকস্মিক আগমন কি ম্যাচের গতি বদলে দিল? টাইগারদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানল? না কি নিছকই ব্যাটিং ব্যর্থতা? উত্তর খুঁজছে সমর্থকরা।
পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে ফিরতে হবে দৃঢ় মনোবল ও ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ের ধারায়।