আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনেক বড় জায়গাজুড়ে অ্যাভোকাডো ফলের বাগান। আর বাগান থেকে এখনই অ্যাভোকাডো ফল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইয়ুনান প্রদেশের ব্যাপক পরিসরে চাষ করা হচ্ছে এই অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু এ ফলটি। এখন যেহেতু এই ফল সংগ্রহের উপযুক্ত সময় তাইতো ভালো দাম পেতেই সঠিক উপায়ে ফল সংগ্রহ করছেন চীনা চাষীরা। টাটকা ফলের চাহিদা বেশি থাকায় চাষীরাও গুরুত্ব দিচ্ছে টাটকা ফল সংগ্রহ করে ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়াকে।
এই প্রদেশের পুয়ের সিটির মেংলিয়ান কাউন্টির ৭ হাজার ২০০ হেক্টরের বেশি জায়গাজুড়ে আবাদ করা হচ্ছে আভাকাডো। এটিই চীনের বৃহত্তম অ্যাভোকাডো চাষ অঞ্চল। চলতি বছর মেংলিয়ানে মোট অ্যাভোকাডো ফলন ১৭ হাজার ৩০০ টনে বা ৬০০ মিলিয়ন ইউওয়ানে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি পরিপক্ক অ্যাভোকাডো গাছ থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ কিলোগ্রাম অ্যাভোকাডো উৎপাদন করা যায় বলে বলছেন স্থানীয় অ্যাভোকাডো বাগানের চাষীরা।
স্থানীয় বাগানের ব্যবস্থাপক চাও শিমিন বলেন, “আমরা এই অ্যাভোকাডো ৩২ থেকে ৩৫ ইউয়ান বিক্রি করি। গাছে আমাদের ফলের ড্রাই ম্যাটারের পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ, যা এর স্বাদ বাড়িয়ে দেয় এবং ফলকে আরও কোমল করে তোলে,”।
অ্যাভোকাডো বাছাই করার পরে, পরিষ্কারের জন্য কাছাকাছি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে পাঠানো হয়, যেখানে কর্মীরা আকারের উপর ভিত্তি করে গ্রেড করে। এরপর প্যাকেজিং করে চীনের বিভিন্ন শহরে বাজারজাত করে ।
মেংলিয়ানের এমন একটি কারখানায় প্রতিদিন প্রায় ৪০ টন অ্যাভোকাডো প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম, তবুও জনপ্রিয় ফলের উচ্চ চাহিদা মেটাতে এটি যথেষ্ট নয়।
মেংলিয়ান কাউন্টির কর্মকর্তা লুও শুন বলেন, “প্রতি বছর, আশেপাশের অঞ্চলে ৩ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাদের এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এখানকার গ্রামবাসী যারা এই বাগানগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাদের বার্ষিক আয় ১লাখ ৫০হাজার ইউওয়ান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে”।
ইউনানের পাওশান শহরে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অ্যাভোকাডো ভোক্তাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। চীনা ভোক্তাদের কাছে বিদেশী ফল হিসেবে পরিচিতি এই ফলটি এখন সাধারণ পরিবারের খাবার টেবিলে আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই ধরনের অ্যাভোকাডো স্থানীয়ভাবে ইয়ুনানে জন্মায়। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। আমি যখনই সুপারমার্কেটে আসি, তখনই আমি আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য এই ফল কিনি”।
টাটকা এই ফল নানাভাবে খেয়ে থাকেন চীনারা। বর্তমানে মিল্কসেক ও রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয় এই ফল।
সূত্রঃ চীনা গণমাধ্যম