১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬
সর্বশেষ
পাকিস্তানের অপরূপ সৌন্দর্য: ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য
গাজায় দ’খ’লদার ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ৪৪ হাজার ছাড়াল
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে জাতিসংঘে বিশ্বজনমতের বিজয়
কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় তালেবান মন্ত্রী খলিল হাক্কানী নিহত
মাহমুদুল্লাহ ও তরুণ জাকিরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে বড় রানের টার্গেট দিলো টাইগাররা
উইন্ডিজের বিপক্ষে মান রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, আবারও ০ রানে ফিরলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন লিটন দাস
শীতে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার জাদু
২৩ জানুয়ারির মধ্যে বাজেট কাঠামো জমার নির্দেশ: দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের পদক্ষেপ
বসুন্ধরায় শুক্রবার থেকে শুরু অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট
বঙ্গভবনের অতিথি তালিকায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান

টেন্ডার ছাড়াই ৯০ বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির অনুমতি দিয়েছিল সাবেক শেখ হাসিনা সরকার

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিতে থাকে স্বৈরাচার খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।

জানা গিয়েছে, দ্রুত উৎপাদনের কথা বলে দরপত্র ছাড়াই ৯০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির অনুমোদন পায় কয়েকটি কোম্পানি। এটাকে আইনী বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণীত হয় দায়মুক্তি আইন; যা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন নামে পরিচিত। সেখানে বলা হয়, ”কোনো কার্য, গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো আদেশ বা নির্দেশের বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

মাত্র দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও সম্পূর্ণ বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে তা টিকিয়ে রাখা হয় পনেরো বছর। বিশেষ ক্ষমতা আইনের বাইরে সর্বনিম্ন ৩ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেয়েছে কয়েকটি বিদ্যুৎ কোম্পানি। তিন বছরের চুক্তিতে থাকা রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর কয়েকটি চলেছে বছরের পর বছর, সেগুলোর জন্য গুণতে হয়েছে বিশাল অঙ্কের ভাড়া।

আরো জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ৮০ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর বা সক্ষমতায় চলার কথা, যদিও বেশিরভাগই চলেছে ৬০ শতাংশের নিচে। দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা সাড়ে ২৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো। অথচ গড়ে উৎপাদন করা হয় ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়মিতই শোধ করেছে সরকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ৫৮ ভাগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকায়।

সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে সামিট গ্রুপ। তাদের পেছনে সরকার ব্যয় করেছে ১০ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা। এছাড়া, এগ্রিকো ৭ হাজার ৯৩২ কোটি, এরদা পাওয়ার ৭ হাজার ৫২৩ কোটি, ইউনাইটেড ৬ হাজার ৫৭৫ কোটি ও আরপিসিএলকে ৫ হাজার ১১৭ কোটি চার্জ দিয়েছে সরকার।

তাই দ্রুত সংকট চিহ্নিত করে দোষীদের শাস্তি ও ভবিষ্যতে অনিয়ম প্রতিরোধে কার্যকর নির্দেশনা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

Archive Calendar
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১