
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: খেজুরকে বলা হয় ‘জান্নাতি ফল’। এটি শুধু মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় খাদ্যই নয়, বরং স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিক থেকেও অত্যন্ত উপকারী। খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ, যা দেহের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
খেজুর সম্পর্কে নবীজি (সা.)-এর বাণী
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: «مَنْ تَصَبَّحَ بِسَبْعِ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً، لَمْ يَضُرَّهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ» অর্থ: “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ বা জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না।” (বুখারি: ৫৭৭৯, মুসলিম: ২০৪৭)
খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
১. প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকে, যা দ্রুত শক্তি যোগায়। রোজা রাখার পর ইফতারে খেজুর খাওয়ার অন্যতম কারণ এটি তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে।
২. হজমের সহায়ক যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুর দারুণ কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
৩. হার্টের জন্য উপকারী খেজুরে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
৪. হাড়কে মজবুত করে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বাড়ে। খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী যারা মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য খেজুর একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ ধীরে বাড়ায়, ফলে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে।
খেজুর শুধু একটি সুন্নতী খাদ্যই নয়, এটি দেহের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় খেজুর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শরীর ও মন দুটোকেই চাঙা রাখবে।