
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন অর্থপাচারের মামলায় খালাস পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এই রায় ঘোষণা করে।
এর আগে, ৪ মার্চ মামলার আপিল শুনানি শেষ হলে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৬ মার্চ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে তারেক রহমানকে খালাস দিলেও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৬ সালে তারেক রহমানের খালাস বাতিল হয় এবং তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে, ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সেই সাজা স্থগিত করে। সর্বশেষ, ২০২৫ সালের ৬ মার্চ আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে খালাস দেন।
এই রায়ের পর বিএনপির নেতারা একে “বিচারের বিজয়” বলে অভিহিত করেছেন, অন্যদিকে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহল রায়ের সমালোচনা করে বলছে, বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, এই রায়ের প্রভাব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কতটা বিস্তার লাভ করে এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে কী পরিবর্তন আনে।