
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের হওয়া শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় পড়া শুরু করেছে।
রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার বিশাল অভিযোগনামা
এই আলোচিত মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করেছে। এর মধ্যে-
তথ্যসূত্র: ২,০১৮ পৃষ্ঠা
জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি: ৪,০০৫ পৃষ্ঠা
শহীদদের তালিকার বিবরণ: ২,৭২৪ পৃষ্ঠা
এই দালিলিক প্রমাণই দেখায়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরতা ছিল ব্যাপক, সুপরিকল্পিত এবং রাষ্ট্রীয় নির্দেশে পরিচালিত।
দমন-পীড়নের সরাসরি নির্দেশের অভিযোগ
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত দমন অভিযান চালান।
তার নির্দেশে,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
আওয়ামী লীগ
ছাত্রলীগ
যুবলীগ
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা
বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত, স্থায়ী অঙ্গহানি ও নির্যাতনের শিকার হন।
৫ আগস্ট আশুলিয়ার ‘পুড়িয়ে হত্যা’ সবচেয়ে নৃশংস অধ্যায়
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এক দফা আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির সময় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় আটকের পর ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয় এবং লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়,যার মধ্যে একজন তখনো জীবিত ছিলেন।
এই নৃশংস ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবেও শেখ হাসিনাসহ তিন আসামিকে অভিযুক্ত করেছে ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণা চলমান, আদালত পাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে


























