
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় ঘোষণার কার্যক্রম চলছে। রায়ের অগ্রগতির মধ্যেই আদালতপাড়া জুড়ে জোরালো আলোচনার জন্ম নিয়েছে, তবে কি এই মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা ৩৪ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক বিচারপতি মো গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দাখিল করা মামলার অভিযোগপত্রে মোট আট হাজার সাতশ সাতচল্লিশ পৃষ্ঠা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ, জব্দতালিকা, শহীদদের তালিকা এবং বিভিন্ন দালিলিক প্রমাণ রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমনপীড়ন চালাতে সরাসরি নির্দেশ দেন। এসব নির্দেশের পরিণতিতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ আহত বা অঙ্গহানি ও বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন।
অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি আশুলিয়ার। এক দফা দাবিতে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করে পরে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তোলে। নিহতদের একজন জীবন্ত অবস্থায়ও পুড়িয়ে মারা হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবেও শেখ হাসিনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রায় পড়া চলমান থাকায় এখনো চূড়ান্ত রায়ের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে মামলার অভিযোগ, দালিলিক প্রমাণ এবং তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্য বিবেচনায় আদালতপাড়ায় আলোচনা তীব্র হয়েছে যে এই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দণ্ড ঘোষিত হতে পারে।
রায় সম্পূর্ণ পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা না গেলেও দেশজুড়ে চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় উৎকণ্ঠা বাড়ছে।


























