
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় অভিযোগ তুলেছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে তাঁর বোন ড. উজমা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ইমরান খান সেনাপ্রধানকে “মানসিকভাবে অস্থিতিশীল” বলে মন্তব্য করেন। সাক্ষাতের পরের দিন ড. উজমা এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ইমরান খানের দাবি, সেনাপ্রধানের নীতি ও সিদ্ধান্ত দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাঁর ভাষায়, জাতীয় স্বার্থের প্রতি সেনাপ্রধানের কোনো অনুরাগ নেই; বরং বিদেশি শক্তিগুলোর সন্তুষ্টির দিকেই তিনি বেশি নজর দিচ্ছেন।
ইমরান আরও অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে একজন সংগ্রামী সেনা কর্মকর্তা হিসেবে প্রমাণ করতে অসীম মুনির ইচ্ছাকৃতভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন। প্রথমে আফগানদের প্রতি হুমকি, পরে শরণার্থীদের বহিষ্কার এবং সীমান্তে হামলার অনুমতি, এসব পদক্ষেপই এখন দেশে নতুন করে সন্ত্রাসবাদ বাড়িয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
তিনি সেনাপ্রধানকে “নৈতিকভাবে দেউলিয়া” আখ্যা দিয়ে বলেন, এসব কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের সংবিধান ও আইনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সেনাপ্রধানের নির্দেশেই তাকে ও তাঁর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলজীবন সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, তিনি চার সপ্তাহ ধরে একাকী সেলে বন্দি, কারও সঙ্গে কথা বলার অনুমতি নেই। জেল ম্যানুয়ালে যেসব মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করার কথা, সেগুলোর অধিকাংশই তার কাছ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও তাঁর আইনজীবী, রাজনৈতিক সহকর্মী ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
























