
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: শীতের সময় বাইরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ফ্রিজ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। অনেকেই গ্রীষ্মের মতো একই সেটিং শীতে ব্যবহার করেন, যা খাবার অতিরিক্ত ঠান্ডা বা জমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, ভুল তাপমাত্রা ফ্রিজের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়। তাই শীতকালে ফ্রিজের সঠিক তাপমাত্রা সেট করা অত্যন্ত জরুরি।
শীতকালে সঠিক তাপমাত্রা
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২–৩°C বা ৩–৪°C রাখা সবচেয়ে ভালো। এতে খাবার দীর্ঘক্ষণ তাজা থাকে, অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়ার আশঙ্কা কমে এবং বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়।
আধুনিক ফ্রিজে সাধারণত ১ থেকে ৭ পর্যন্ত ডায়াল বা ডিজিটাল কন্ট্রোল থাকে। সংখ্যাটি যত বেশি, তত ঠান্ডা। গ্রীষ্মে সাধারণত ৪–৫ এ রাখা হয়, শীতে ২–৩ নম্বর বা ডিজিটালে ৩–৪°C যথেষ্ট।
কেন শীতে কম কুলিং দরকার?
শীতে আশেপাশের তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে:
কম্প্রেসারের চাপ কমে
খাবার অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কমে
বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়
ফ্রিজের আয়ু বাড়ে
ফ্রিজের অতিরিক্ত যত্নের টিপস
ডিফ্রস্ট করা: সিঙ্গেল-ডোর বা ডাইরেক্ট-কুলড ফ্রিজ প্রতি ১৫–২০ দিনে ডিফ্রস্ট করা জরুরি। বরফ জমে থাকলে ঠান্ডা ঠিকভাবে ছড়ায় না এবং বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
সঠিক লোড: ফ্রিজে অতিরিক্ত জিনিস রাখলে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, খুব খালি থাকলেও ঠান্ডা ধরে রাখতে বেশি শক্তি লাগে। মাঝারি লোডই ভালো।
দরজা কম খোলা: বারবার দরজা খুললে ঠান্ডা বেরিয়ে যায় এবং কম্প্রেসার বেশি কাজ করতে হয়।
মাঝে মাঝে বন্ধ রাখা: সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজ বন্ধ রাখলে কম্প্রেসার রিল্যাক্স পায় এবং ফ্রিজ আরও দক্ষভাবে কাজ করে।
শীতকালে ফ্রিজের কুলিং সামান্য কমিয়ে, নিয়মিত ডিফ্রস্ট ও সঠিক লোড বজায় রাখলে খাবার থাকবে তাজা, বিদ্যুৎও বাঁচবে এবং ফ্রিজের আয়ুও বৃদ্ধি পাবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা





























