
আওয়ার টাইমস নিউজ।
লাইফস্টাইল: বাংলাদেশে রমজান মাসের সময় ইফতার বেলায় নানা ধরনের খাবারের মাঝে মুড়ি মাখা একটি জনপ্রিয় খাবার। মুড়ি, পেঁয়াজ, সরিষার তেল, কাঁচা মরিচ, ও ছোলা একসাথে মিশিয়ে যে খাবার তৈরি হয় তা অনেকের কাছে অতি জনপ্রিয়। তবে, এই মুড়ি মাখাতে জিলাপি মেশানো নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কিছু মানুষ এটি পছন্দ করেন, আবার অনেকে এর পক্ষে নন। তবে স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিকোণ থেকে কীভাবে এটি প্রভাব ফেলতে পারে, তা একে অপরকে জানানো জরুরি।
মুড়ি মাখা সাধারণত একটি হালকা খাবার, যা সহজে হজম হয় এবং শরীরকে খুব বেশি ভারী অনুভব করায় না। এটি মূলত সহজপাচ্য এবং দ্রুত প্রস্তুত হওয়া একটি খাবার। কিন্তু, এতে যখন জিলাপি যোগ করা হয়, তখন তা মিষ্টান্ন হিসেবে অনেক ভারী হয়ে উঠে, যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ চিনি এবং তৈলাক্ত উপাদান থাকে।
জিলাপি সাধারণত চিনির সিরাপে ভেজানো এবং তেলে ভাজা হয়, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং ফ্যাটের উৎস। এতে শরীরের পক্ষে কার্যকরভাবে হজমের সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন।
কিছু মানুষ মনে করেন, মুড়ি মাখার সাথে জিলাপি খাওয়া এক ধরনের ‘ফিউশন খাবার’ যা কিছুটা নতুন স্বাদ দিতে পারে। মিষ্টি এবং নোনতা খাবারের মিশ্রণ সাধারণত রুচির জন্য ভালো হলেও, এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিমিত পরিমাণে মুড়ি মাখার সাথে জিলাপি খাওয়া ক্ষতিকর না হলেও, অতিরিক্ত মিষ্টি ও তেলের কারণে এতে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে। এতে উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণের ফলে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। তাই, এটি পরিমাণমতো খাওয়াই শ্রেয়।
স্বাস্থ্যবিদরা বলেন, কোন খাবারই একেবারে খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত নয়, তবে পরিমাণে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। মুড়ি মাখা এবং জিলাপি একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ে খাওয়া গেলে কোনো সমস্যা হবে না, তবে অতিরিক্ত তেল এবং চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি এবং তেলের খাবার হৃদরোগ এবং অন্যান্য নানান শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
প্রসঙ্গত: মুড়ি মাখাতে জিলাপি মিশিয়ে খাওয়া সুস্বাদু হলেও, তা নিয়মিতভাবে খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যের উপরে তার প্রভাব বিবেচনা করা দরকার। এটি যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয় তবে কোনও ক্ষতি হবে না, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া একে সমস্যা তৈরি করতে পারে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, শর্করা ও ফ্যাটের পরিমাণ কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।