
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবিতে জেলায় ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল চলবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
হরতালের প্রথম সকালেই শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, দোয়েল চত্বরসহ অন্তত ৮–১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালানো, গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করায় রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কর্মজীবী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শহরে অবস্থানরত পর্যটকরাও মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
হরতালের কারণে শহরের একমাত্র সিএনজি সার্ভিস, শপিংমলসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রয়েছে। সপ্তাহের ছুটিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার সাধারণত পর্যটকের ভিড় থাকে, কিন্তু চলমান কর্মসূচির কারণে তাদের অবস্থানও অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
বুধবার বিকেলে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে কোটাবিরোধী ঐক্যজোট এই হরতালের ঘোষণা দেয়। সেখানে শিক্ষার্থী ইব্রাহিম রুবেল, রাকিব হাসান, নুরুল আলম, রেজাউল করিম রাজুসহ নেতারা দাবি করেন, সরকারি চাকরিতে নির্ধারিত ৭ শতাংশ কোটা থাকা সত্ত্বেও জেলা পরিষদ সেই নিয়ম না মেনে নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছে। এতে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে বলে অভিযোগ করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য “মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে আমরা বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানালেও কোনো সমাধান পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে হয়েছে। বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
হরতালের সময় ২০ ও ২১ নভেম্বর জেলার সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে জরুরি সেবায় ব্যবহৃত যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।




























