
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও তার আগের দুই দিন ধরে ঢাকায় উত্তেজনা ও টানটান পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রায়ের আগে শনিবার বিকেল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রোববার সকালেও মগবাজারের ইস্কাটনে আরেকটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, যাতে একজন আহত হন। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রাজধানীর অফিস-আদালত, ব্যাংক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ স্বাভাবিকভাবে চললেও শহরের প্রধান পয়েন্টগুলোতে পুলিশের কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বেড়েছে চেকপোস্ট, বাড়ানো হয়েছে টহল।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকাসহ চার জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা করছে।
অন্যদিকে, রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি বলছে, একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চাইছে, যার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য জরুরি। অপরদিকে আট-দলীয় জোটও জানিয়েছে, তারা মাঠে থাকবে এবং নাশকতার সুযোগ কেউ পাবে না।
এরই মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে ডিএমপি। গত ২৪ ঘণ্টায় নাশকতা, বাসে আগুন এবং বিস্ফোরণের অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আবারও ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দিতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনও করা হয়েছে।
রায়টি সোমবার সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি। সব নজর এখন ট্রাইব্যুনালের দিকে, আর অপেক্ষা ‘ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার’।


























