
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় কোনো ধরনের উন্নতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ফলেই বেগম জিয়ার অসুস্থতা আরও বেড়েছে এবং আজ তাঁর অবস্থাকে “অপরিবর্তিত” বলে জানাতে হচ্ছে।
রিজভীর ভাষ্য, যিনি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে গণতন্ত্রের পক্ষে বাংলাদেশে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, তাঁকেই পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁকে এমন অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে, যা এখন গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছে। রিজভী বলেন, “দেশের মানুষ তাঁর সুস্থতা কামনা করে দোয়া করছে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায় নিতে হবে সরকারকেই।”
তিনি জানান, শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করবে বিএনপি। এতে অংশ নিতে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতিও আহ্বান জানান।
গত রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট গুরুতরভাবে বেড়ে গেলে খালেদা জিয়াকে দ্রুত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতা এবং নতুন করে দেখা দেওয়া নিউমোনিয়ার কারণে তাঁর অবস্থা আরও নাজুক হয়ে উঠেছে বলে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও জানান, বিএনপির “দেশ পুনর্গঠন কর্মসূচি” আগামী ৭ ডিসেম্বর শুরু হবে। এই কর্মসূচিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও রিজভীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, বিএনপি মনে করছে, বেগম জিয়ার বর্তমান সংকট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক নির্যাতনেরই ফল।
























