
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হলেও এখনো জনগণের মৌলিক দাবি পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে যারা দাবি তুলছেন, তারা আসলে জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নীলফামারী শহরে এক পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, “আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, নির্বাচিত সরকার চাই। তবে তার আগে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু ‘নির্বাচন নির্বাচন’ করে একটা মুলা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এটা ধোঁকাবাজি ছাড়া কিছু নয়।”
গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ রুবেল ও সাজ্জাদের কবর জিয়ারত শেষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপি জেলা আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ আরও অনেকে।
নাহিদ আরও বলেন, “বর্তমান সংবিধান আওয়ামী লীগের দলীয় সংবিধান—এটা মুজিববাদের সংবিধান। এটা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। নতুন সংবিধান ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপির উত্থান ঠেকাতে সরকার হামলার পরিকল্পনা করছে। “আমাদের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি,” বলেন তিনি।
সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “এই অভ্যুত্থান কেবল সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়; ফ্যাসিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার সব পথ বন্ধ করতে হবে। সংবিধানের নামে যেটা আছে, তা আসলে আওয়ামী বিধান। নির্বাচনের আগে চাই প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কার।”
নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পূর্বের সেই পুরনো দখলদারতন্ত্র, কালচার, সন্ত্রাস, এখনো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু যারা ২৪-এর অভ্যুত্থান সফল করেছে, তারা রাজপথে আছে—এবং থাকবে।”