
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুবাই এয়ারশোতে ভারতের স্বদেশি যুদ্ধবিমান তেজস বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে দেশটির সামরিক ভাবমূর্তিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দুর্ঘটনায় পাইলট উইং কমান্ডার নমাংশ স্যল নিহত হয়েছেন। এখনও দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্বের অন্যতম বড় এয়ারশোতে এমন দুর্ঘটনা ভারতের অস্ত্র রপ্তানির পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন বিশ্লেষক ডগলাস এ. বার্কি বলেন, “দুবাই এয়ারশোতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা চরম নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে তেজস প্রকল্পটি পুনরায় গতি পাবে বলে আশা করা যায়।”
তেজস প্রকল্পটি ১৯৮০-এর দশকে শুরু হয়েছিল, মিগ-২১ প্রতিস্থাপনের জন্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL) ১৮০টি উন্নত এমকে-১৪ ভ্যারিয়েন্ট তেজস তৈরির পরিকল্পনা রেখেছে। তবে ইঞ্জিন সরবরাহ ও উৎপাদন সমস্যার কারণে ডেলিভারি বিলম্বিত হচ্ছে।
ভারতের বিমানবাহিনীতে বর্তমানে ২৯ স্কোয়াড্রন রয়েছে, যেখানে অনুমোদিত সংখ্যা ৪২। পুরনো মিগ-২৯, জাগুয়ার ও মিরাজ ২০০০-এর সংস্করণ ধীরে ধীরে অবসরে যাবে। নতুন যুদ্ধবিমানের ঘাটতি পূরণের জন্য ভারত ফরাসি রাফাল, মার্কিন এফ-৩৫ অথবা রাশিয়ার সু-৫৭ কেনার বিষয়ও বিবেচনা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, তেজসের আন্তর্জাতিক বিক্রির চেয়ে প্রকল্পটি ভারতের সামরিক প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ যুদ্ধবিমান উন্নয়নের জন্য যে অবকাঠামো তৈরি করছে, তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।



























