
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর দিকে মোড় নিচ্ছে। ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর পরমাণু বোমা ফেলে, তাহলে পাকিস্তানও পরমাণু হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের জবাব দেবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তা।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রভাবশালী নেতা জেনারেল মোহসেন রেজায়ি সম্প্রতি বলেছেন—“পাকিস্তান আমাদের আশ্বস্ত করেছে, যদি ইসরায়েল ইরানে পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে তারাও পরমাণু অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের ওপর আঘাত হানবে।”
তিনি আরও বলেন—“পাকিস্তান আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মুসলিম বিশ্ব একসাথে না হলে, এই আগ্রাসন থামবে না।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের ঘোষণা আসেনি, তবে ইরানের প্রতি তাদের সমর্থন স্পষ্ট। বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্ব যখন চোখ বন্ধ করে ইসরায়েলের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
কিছুদিন আগেও ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে উত্তেজনা ছিল, তবে বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
রেজায়ি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের কাছে এমন কিছু সামরিক শক্তি আছে, যা এখনো বিশ্ব জানে না। আর পাকিস্তান নিজেও একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। ইসরায়েলের মতো একটি রাষ্ট্র যদি পারমাণবিক আগ্রাসন চালায়, তাহলে মুসলিম বিশ্বের পরমাণু শক্তিগুলোর চুপ করে থাকা উচিত হবে না—এমন মত অনেক মুসলিম বিশ্লেষকের।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন,“ইসরায়েল বিশ্বের জন্য একটি দাঙ্গাবাজ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ওদের পরমাণু অস্ত্রের ভয় এখন শুধু গাজার জন্য না, পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন—“যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকার সামরিক শক্তি এমনভাবে নেমে আসবে, যা পৃথিবী আগে কখনও দেখেনি।” তবে তিনিও শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, বলেছেন, “চাইলেই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি হতে পারে, যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে।”
বিশ্লেষণ বলছে, এ লড়াই শুধু ইরান আর ইসরায়েলের মধ্যে নেই, বরং মুসলিম বিশ্বের সম্মান ও স্বাধীনতার লড়াই। এখন প্রশ্ন, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সত্যিই কি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দিকে এগোবে?
সূত্র: ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি